বিসিএস/BCS/ Bangladesh Civil Service
বাংলাদেশে মূলত সরকারি চাকরি দুই ভাগে বিভক্ত, সামরিক এবং বেসামরিক। সামরিক বা মিলিটারি বলতে আমরা আর্মি, নেভি, এয়ারফোর্স এসব বাহিনি বুঝে থাকি। আর বিসিএস থেকে বাছাইকৃতরা যে ধরনের সরকারি চাকুরি করেন আমরা সাধারণত যা বুঝে থাকি , শিক্ষা , পররাষ্ট্র, পুলিশ প্রশাসন , বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের অধিনে সচিব, ডাক্তার, জুডিশিয়াল সার্ভিস ইত্যাদি।
বিসিএস (ক্যাডার) : ক্যাডার ক্যানো বলা হয়? আসলে এটি একটি ইংরেজি শব্দ, (cadre) যার বাংলা করলে দাঁড়ায় সুনির্দিষ্ট কাজের জন্য প্রশিক্ষনপ্রাপ্ত একটি দল। প্রশাসন সহ বিভিন্য স্তরে নিয়োগ করে সরকারি ভাবে নিজ নিজ সেক্টরে প্রশিক্ষন দেয়া হয়, এজন্যই ক্যাডার শব্দটি ব্যাবহার করা হয়।
বিসিএস-এর ২৭টি ক্যাডারের নাম (ইংরেজি বর্ণমালার ক্রমানুসারে)
১ | বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (প্রশাসন) | সাধারণ ক্যাডার |
২ | বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (কৃষি) | কারিগরি/পেশাগত ক্যাডার |
৩ | বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (আনসার) | সাধারণ ক্যাডার |
৪ | বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (নিরীক্ষা ও হিসাব) | সাধারণ ক্যাডার |
৫ | বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (সমবায়) | সাধারণ ক্যাডার |
৬ | বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (শুল্ক ও আবগারি) | সাধারণ ক্যাডার |
৭ | বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (ইকনমিক) | সাধারণ ক্যাডার |
৮ | বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (পরিবার পরিকল্পনা) | সাধারণ ক্যাডার |
৯ | বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (মৎস্য) | কারিগরি/পেশাগত ক্যাডার |
১০ | বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (খাদ্য) | সাধারণ এবং কারিগরি/পেশাগত ক্যাডার |
১১ | বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (পররাষ্ট্র) | সাধারণ ক্যাডার |
১২ | বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বন) | কারিগরি/পেশাগত ক্যাডার |
১৩ | বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (সাধারণ শিক্ষা) | কারিগরি/পেশাগত ক্যাডার |
১৪ | বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (স্বাস্থ্য) | কারিগরি/পেশাগত ক্যাডার |
১৫ | বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (তথ্য) | সাধারণ এবং কারিগরি/পেশাগত ক্যাডার |
১৬ | বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (পশু সম্পদ) | সাধারণ এবং কারিগরি/পেশাগত ক্যাডার |
১৭ | বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (পুলিশ) | সাধারণ ক্যাডার |
১৮ | বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (ডাক) | সাধারণ ক্যাডার |
১৯ | বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল) | কারিগরি/পেশাগত ক্যাডার |
২০ | বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (গণপূর্ত) | কারিগরি/পেশাগত ক্যাডার |
২১ | বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (রেলওয়ে প্রকৌশল) | কারিগরি/পেশাগত ক্যাডার |
২২ | বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (রেলওয়ে পরিবহন ও বাণিজ্যিক) |
সাধারণ এবং কারিগরি/পেশাগত ক্যাডার |
২৩ | বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (সড়ক ও জনপথ) | কারিগরি/পেশাগত ক্যাডার |
২৪ | বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (পরিসংখ্যান) | কারিগরি/পেশাগত ক্যাডার |
২৫ | বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (কর) | সাধারণ ক্যাডার |
২৬ | বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (কারিগরি শিক্ষা) | কারিগরি/পেশাগত ক্যাডার |
২৭ | বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বাণিজ্য) | সাধারণ এবং কারিগরি/পেশাগত ক্যাডার |
তথ্য সুত্রঃ http://bpsc.gov.bd/
বিসিএস এর তিনস্তর বিশিষ্ট পরীক্ষা পদ্ধতি
বিসিএস (বয়স, যোগ্যতা ও সরাসরি নিয়োগের জন্য পরীক্ষা) বিধিমালা-২০১৪-এর বিধান অনুযায়ী বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসে উপযুক্ত প্রার্থী মনোনয়নের উদ্দেশ্যে সরকারী কর্ম কমিশন নিম্নোক্ত ৩ স্তর বিশিষ্ট নিয়োগ পরীক্ষা গ্রহণ করে থাকে
প্রথম স্তরঃ ২০০ নম্বরের MCQ Type Preliminary Test ।
দ্বিতীয় স্তরঃ প্রিলিমিনারি টেস্টে কৃতকার্য প্রার্থীদের জন্য ৯০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা।
তৃতীয় স্তরঃ লিখিত পরীক্ষায় কৃতকার্য প্রার্থীদের জন্য ২০০ নম্বরের মৌখিক পরীক্ষা।
প্রথম স্তরঃ ২০০ নম্বরের MCQ Type Preliminary Test
শূন্য পদের তুলনায় প্রার্থী সংখ্যা বিপুল হওয়ায় লিখিত পরীক্ষার মাধ্যমে উপযুক্ত প্রার্থী বাছাই-এর জন্য বিসিএস (বয়স, যোগ্যতা ও সরাসরি নিয়োগের জন্য পরীক্ষা) বিধিমালা-২০১৪-এর বিধি-৭ অনুযায়ী বাংলাদেশ সরকারী কর্ম কমিশন ২০০ নম্বরের MCQ Type প্রিলিমিনারি টেস্ট গ্রহণ করে থাকে। ৩৪তম বিসিএস পরীক্ষা পর্যন্ত ১০০ নম্বরে প্রিলিমিনারি টেস্ট গ্রহণ করা হতো। বিসিএস পরীক্ষা বিধিমালা-২০১৪-এর বিধানমতে ৩৫তম বিসিএস পরীক্ষা হতে ২০০ নম্বরের ২ ঘণ্টা সময়ে ১০টি বিষয়ের উপর MCQ Type প্রিলিমিনারি টেস্ট গ্রহণের ব্যবস্থা প্রবর্তন করা হয়েছে।
প্রিলিমিনারি টেস্ট-এর বিষয় ও নম্বর বণ্টন
ক্রমিক নম্বর | বিষয়ের নাম | নম্বর বণ্টন |
১ | বাংলা ভাষা ও সাহিত্য | ৩৫ |
২ | ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য | ৩৫ |
৩ | বাংলাদেশ বিষয়াবলি | ৩০ |
৪ | আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি | ২০ |
৫ | ভূগোল (বাংলাদেশ ও বিশ্ব), পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা | ১০ |
৬ | সাধারণ বিজ্ঞান | ১৫ |
৭ | কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি | ১৫ |
৮ | গাণিতিক যুক্তি | ১৫ |
৯ | মানসিক দক্ষতা | ১৫ |
১০ | নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সু-শাসন | ১০ |
মোট | ২০০ |
প্রিলিমিনারি টেস্ট -এর বিস্তারিত সিলেবাস
২য় স্তরঃ ৯০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা (গড় পাস নম্বর ৫০%)
প্রিলিমিনারি টেস্ট-এ কমিশন কর্তৃক কৃতকার্য ঘোষিত প্রার্থীদের ৯০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হয়। নির্ধারিত শিক্ষাগত যোগ্যতা অনুযায়ী ২৭টি ক্যাডার সাধারণ ক্যাডার এবং কারিগরি/পেশাগত ক্যাডার এই দুই ক্যাটাগরিতে বিভক্ত।
ক. সাধারণ ক্যাডারের প্রার্থীদের জন্য ৯০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা।
খ. কারিগরি/পেশাগত ক্যাডারের প্রার্থীদের ৯০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা।
ক. সাধারণ ক্যাডারের প্রার্থীদের জন্য লিখিত পরীক্ষার বিষয়ভিত্তিক নম্বর বণ্টন
ক্রমিক নম্বর | আবশ্যিক বিষয় | নম্বর বণ্টন |
১ | বাংলা | ২০০ |
২ | ইংরেজি | ২০০ |
৩ | বাংলাদেশ বিষয়াবলি | ২০০ |
৪ | আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি | ১০০ |
৫ | গাণিতিক যুক্তি ও মানসিক দক্ষতা | ১০০ |
৬ | সাধারণ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি | ১০০ |
মোট | ৯০০ |
খ. কারিগরি/পেশাগত ক্যাডারের প্রার্থীদের জন্য লিখিত পরীক্ষার বিষয়ভিত্তিক নম্বর বণ্টন
ক্রমিক নম্বর | আবশ্যিক বিষয় | নম্বর বণ্টন |
১ | বাংলা | ১০০ |
২ | ইংরেজি | ২০০ |
৩ | বাংলাদেশ বিষয়াবলি | ২০০ |
৪ | আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি | ১০০ |
৫ | গাণিতিক যুক্তি ও মানসিক দক্ষতা | ১০০ |
৬ | সাধারণ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি | ২০০ |
মোট | ৯০০ |
লিখিত পরীক্ষার বিস্তারিত সিলেবাস
পদ সংশ্লিষ্ট (Job-related) বিষয়ের পরীক্ষা
যে সকল প্রার্থী সাধারণ ও কারিগরি/পেশাগত উভয় ক্যাডারের পদের জন্য পছন্দক্রম দেবেন, তাদেরকে সাধারণ ক্যাডারের জন্য নির্ধারিত বিষয়ের ৯০০ নম্বরের অতিরিক্ত সংশ্লিষ্ট পদ বা সার্ভিসের জন্য প্রাসংগিক বিষয়ের ২০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা দিতে হয়।
৩য় স্তরঃ বিসিএস-এর ২০০ নম্বরের মৌখিক পরীক্ষা (পাস নম্বর ৫০%)
বিসিএস-এর লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের ২০০ নম্বরের মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ বাধ্যতামূলক। মৌখিক পরীক্ষায় পাশ নম্বর ৫০%।
বিসিএস-পরীক্ষার সাক্ষাৎকার বোর্ড গঠন
লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের উপযুক্ততা নির্ধারণের জন্য বিসিএস পরীক্ষা বিধিমালার বিধান অনুযায়ী কমিশন নিম্নোক্তভাবে মৌখিক পরীক্ষার বোর্ড গঠন করে থাকেঃ
১ | কমিশনের চেয়ারম্যান/সদস্য | বোর্ড চেয়ারম্যান |
২ | সরকার কর্তৃক মনোনীত যুগ্মসচিব বা তদূর্ধ্ব পদমর্যাদার কর্মকর্তা | বোর্ড সদস্য |
৩ | কমিশন কর্তৃক মনোনীত বিষয়ভিত্তিক বিশেষজ্ঞ | বোর্ড সদস্য |
তথ্য সুত্রঃ http://bpsc.gov.bd/
বিসিএস থেকে সরকারি বেতন কাঠামোতে নবম গ্রেডে নিয়গ দেয়া হয়, সাধারনত এ গ্রেডে বেতন স্কেল থাকে ২২০০০-৫৩০৬০। নিয়গ এর পর পর সাধারণত একটি ইনক্রিমেন্ট থাকে(প্রায় ১১০০টাকার) । যাদের রেজিস্ট্রেশন কিংবা নিবন্ধন দরকার থাকে(যেমন ডাক্তার /ইঞ্জিনিয়ার) তাদের পর পর দুটি ইনক্রিমেন্ট হয়ে থাকে। সর্বপরি সেক্টর অনুযায়ী সুজোগ সুবিধা এক এক রকম।
বিসিএস পরীক্ষায় অংশ গ্রহনের জন্য নুন্যতম যোগ্যতাঃ
প্রথমত এখানে দুটি বিষয় জানা দরকার,
মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক এবং স্নাতক (Honours) এ তিনটি স্তরের যে কোন দুটিতে অবশ্যই দ্বিতীয় শ্রেনী এবং একটিতে তৃতীয় হলেই এ পরিক্ষায় অংশগ্রহন করা যাবে।
এবার যারা ডিগ্রি/পাস কোর্স ধারী আছেন তাদের অবশ্যই স্নাতোকোত্তর (Post Graduation) অর্থাৎ মাস্টার্স সহ দ্বিতীয় শ্রেনী থাকা লাগবে।
জিপিএ(GPA) পদ্ধতিতে প্রথম দ্বিতীয় বা তৃতীয় শ্রেনীঃ
মাধ্য্যমিক (SSC) কিংবা উচ্চ মাধ্যমিক (HSC) এর ক্ষেত্রে ঃ
প্রথম শ্রেণি : যাদের GPA ৩ কিংবা এর উপরে।
দ্বিতীয় শ্রেণি : যাদের GPA ২ থেকে ৩ এর নিচে।
তৃতীয় শ্রেণি : যাদের GPA ১ থেকে ২ এর নিচে।
স্নাতক (Honours) এর ক্ষেত্রে ঃ
প্রথম শ্রেণি : যাদের GPA ৩ কিংবা এর উপরে।
দ্বিতীয় শ্রেণি : যাদের GPA ২.২৫ থেকে ৩ এর কম
তৃতীয় শ্রেণি : যাদের GPA ১.৬৫ থেকে ২.২৫ এর নিচে।
এবার সরাসরি আশা যাক সবচে আলোচিত একটি প্রশ্ন নিয়ে, কি পরবো, কি কি প্রস্তুতি নেয়া প্রয়োজন ?
প্রথমত বিসিএস পরীক্ষার তিনটি ধাপ থাকলেও মুল যে কম্পিটিশন হয় সেটা হল প্রিলিমিনারিতে, যেখানে অসংখ্য পরীক্ষার্থী ঝরে যায় প্রথম ধাপে।
ক্যাডার হতে হলে মুলত অনেক পরাশুনা করা লাগবে নির্দিধায়, তবে কিছু সুনির্দিষ্ট পথ অবলম্বন করলে জিনিষটা একটা কাঠামোর মধ্যে চলে আসে। গনিত এবং ইংরেজীতে অবশ্যই ভাল হতে হবে। অন্যান্য পড়া হয়ত ৬-৭ মাসের মধ্যে শেষ করা যাবে তবে পোক্ত হতে হবে এই দুটি বিষয়ে অধিক গুরত্ব দিতে হবে।
১. বিসিএস প্রিলিমিনারি
২. কারেন্ট এফেয়ার্স
৩. বিসিএস প্রিলিমিনারি ডাইজেস্ট
৪. “বাংলা প্রশ্নের টীকা-ভাষ্য”
৫. ৯ম-১০ম শ্রেণীর বাংলা বোর্ড এর ব্যাকরণ বই।
৬. বাংলা ভাষা এবং সাহিত্য
৭. English for Competitive Exam
৮. A Handbook on English Literature
৯. An Easy Approach to English Literature
১০. কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (লেখক- প্রকাশ কুমার দাস
১১. বিসিএস মানসিক দক্ষতা
১২. MP3 Math Review
১৩. এমপি থ্রী আন্তর্জাতিক (সাধারণ জ্ঞান)
১৪. এমপি থ্রী বাংলাদেশ (সাধারণ জ্ঞান)
প্রস্তুতির ব্যাপারে বিস্তারিতঃ
আশা করছি যারা আগ্রহী তারা এখনই প্রস্তুতি নেয়া শুরু করে দিয়েছেন। আপাত দৃষ্টিতে অনেক কঠিন কাজ হলেও যারা সফল ভাবে বাধা অতিক্রম করে দেশের বিভিন্য সেক্টরে সরকারি কাজে নিয়জিত আছেন তাদের মতে এখানে মেধার চেয়ে সময়ানুবর্তিতা এবং পরিশ্রম এর উপর গুত্ব দিয়েছেন বেশি। রুটিন মাফিক পড়ুন। ছাত্র হলে দীর্ঘমেয়াদী প্রস্তুতি নিন। চাকরিজীবী হলে কাজের ফাকে ফাকে সময় বের করে পড়ুন।
সাধারন বিষয়াদি :
জাতীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার মদ্ধে সবচে উপরে অবস্থান করছে বি সিএস পরীক্ষা। ৪০ তম বিসিএস এর জন্য ক্যন্ডিডেট ছিল ৪,১২৫৩২ জন। এর মদ্ধ্যে প্রিলিতে পাশ করেছেন মাত্র ২০২৭৭ জন। সুতরাং এর প্রস্তুতির ধার নির্দিধায় অনুমেয়। এর প্রথম ধাপ এবং সবচে কঠিন ধাপ হল প্রিলিমিনারি পরীক্ষা। প্রিলিমিনারি ডাইজেস্ট সহ বাংলা, ইংরেজি, সাহিত্য, সমকালিন বিষয়াদি সম্পর্কে ধারনা, কম্পিউটার জ্ঞান অত্যাবশ্যক। উপরের যে বই গুলোর নাম দেয়া আছে বইগুলো সংগ্রহ করে তার উপর পরাশুনার ভিত্তিতে প্রশ্ন ব্যাঙ্ক সল্ভ করা এবং শেষে নিযে নিজে মডেল টেস্ট দেয়াটা অনেক কাজের। আগের প্রশ্ন যত পারেন সমাধান করুন।
বাংলা:
বাংলা সাহিত্য ও ব্যাকরন মিলে মোট ৩৫ নম্বর। এই জায়গাটাতে অনেকেই কম নাম্বার পেয়ে থাকেন বাকি প্রুস্তুতি ভাল থাকলেও বাংলার প্রতি অনেকে গুরত্ব না দেয়ায় এই জায়গায় অনেকেই আটকে যান। সাধারণত বাংলা সাহিত্যের বিখ্যাত উপন্যাস, ছোট গল্প, কবিতা এগুলোর রচনাকাল, প্রেক্ষাপট, লেখক/কবি/সাহিত্যিকদের নাম তাদের জন্মসাল জন্মস্থান এবং তাদের বিশেষায়িত উপন্যাস সম্পর্কে জানতে হবে। দেশের স্বাধীনতা, ভাষা আন্দোলন সহ জাতীয় প্রেক্ষাপট নিয়ে বিভিন্ন চলচিত্রের নাম তাদের নির্দেশক (director) এর নাম জানতে হবে। যেমনঃজহির রায়হান এর জীবন থেকে নেয়া, (১৯৭০) কিংবা চাষী নজরুল ইসলামের ওরা ১১ জন (১৯৭২)।
এবার আসা যাক বাংলা ব্যাকরন অংশেঃ বাংলা ব্যাকরণ এর বিভিন্য অংশ সম্পর্কে সম্যক ভাল ধারণা থাকতে হবে।
উদাহরন স্বরুপ বলা যেতে পারে : সমাস, কারক-বিভক্তি ,বাক্য ও এর শ্রেনিবিভাগ, বানান ও বাক্য শুদ্ধি, পরিভাষা, সমার্থক ও বিপরীতার্থক শব্দ, বাক্য, প্রত্যয়, সন্ধি , ধবনি, বর্ণ, পদ, শব্দ, শব্দের উৎস, শব্দের প্রকারভেদ বিভিন্ন ধরনের বাক্য এর রুপান্তর (সরল, জটিল, যৌগিক), উপসর্গ, অনুসর্গ ইত্যাদি
নিম্নোক্ত বই গুলো এখেত্রে কাজে আসবেঃ
“বাংলা প্রশ্নের টীকা-ভাষ্য”
৯ম-১০ম শ্রেণীর বাংলা বোর্ড এর ব্যাকরণ বই।
ইংরেজিঃ
ইংরেজি সাহিত্য নিয়ে পড়তে হবে, ইংরেজি সাহিত্যের বিভিন্ন যুগ নিয়ে কমন কিছু প্রশ্ন আসে। উদাহরণ স্বরুপ বলা যেতে পারে :
Old English literature (c. 450–1066),Middle English literature ,Medieval theatre,English Renaissance (1500–1660), Elizabethan period (1558–1603)
ইংরেজিতে যেসব বিষয়গুলিতে দুর্বল, ভাল করে পড়তে হবে। Preposition Synonym, antonym, Analogy, Voice, Narration, One word substitution, Sentence completion Grammar and Vocabulary থেকে শুরু করে গ্রামাটিকাল যত সমস্যা আছে সল্ভ করুন। বিশেষ করে ষষ্ঠ শ্রেনী থেকে নবম দশম শ্রেনীর ইংরেজি বই গুলো পড়লে অনেকটাই সমাধান হবে এ ব্যাপার গুলো।
English for Competitive
A Handbook on English Literature
An Easy Approach to English Literature
উপরোক্ত বই গুলা পরা যেতে পারে।
বিজ্ঞান বিষয়ক:
আপনার একাডেমিক ব্যাকগ্রাউন্ড যেটাই থাকুকনা কেন সেদিকে নজর দেয়ার দরকার নেই। বিজ্ঞান বিভাগ থেকে যারা আসবে কিছুটা এগিয়ে থাকলেও ভয় পাওয়ার কিছু নেই। সাধারন বিজ্ঞান সম্পর্কে অবশ্যই ধারনা নিতে হবে এবং পড়তে হবে।কয়েকটা প্রশ্ন ব্যাঙ্ক সমাধান করলে দেখা যাবে কিছু কমন প্রশ্ন আছে যা প্রতিবার ই আসে। মানবদেহ এবং রোগ তত্ত্ব, প্রাণী, খাদ্য ও পুষ্টি, কম্পিউটার এবং ইন্টারনেট, সাধারণ পদার্থবিজ্ঞান, প্রাকৃতিক দর্শন ইত্যাদি। এবং সাধারন বিজ্ঞান এর জন্য অবশ্যই প্ত্রিকা এবং ইন্টারনেট ঘাটাঘাটি করতে হবে। অন্তত পক্ষে প্রতিদিন ২ ঘন্টা করে পত্রিকা পড়ুন। সমকালিন ঘটনাবলী সহ দেশ বিদেশের রাজনিতি, অর্থনিতি,বিশ্ব নেতাদের বিভিন্য কর্মকান্ড সম্পর্কে ধারনা রাখুন। ইংরেজি পত্রিকা অবশ্যই রাখতে হবে।
এখানে একটি কথা হল সাধারন বিজ্ঞান,কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি (সুর্বমোট ৩০) এখানে অধিকাংশ প্রশ্ন রিপিট হয়। সুতরাং আগের প্রশ্ন ব্যাঙ্ক সমাধান এ অনেক উপকারে আসবে।
কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (লেখক- প্রকাশ কুমার দাস
এই বইটি অনেকেই সাজেস্ট করে থাকেন।
উল্লেখ্য: এখানে ব্যাঙ্ক এর নিয়োগ পরীক্ষার জন্য আসা কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক প্রশ্ন আবার রিপিট হয়।ভেবে দেখুন তো আমরা মাধ্যমিক মাধ্যমিকে ইসলাম শিক্ষা/বাংলা প্রথমপত্র/সাধারন বিজ্ঞান/সামাহিক বিজ্ঞান এসব বিষয় গুলো নিয়ে অতটা গুরত্ব দিতাম না এই ভেবে যে এসব বিষয়ে নাম্বার উঠানো অততা কঠিন কাজ না। তবে বুদ্দিমানেরা এগুলোও সমান গুরুত্ব সহকারে পরত। এইখানেও ঠিক তেমনি তথ্যপ্রযুক্তি /কম্পিউটার এই বিষয়টাকে অত্যাধিক গুরুত্ব দিতে হবে কারন এই বিষয়টাতে নাম্বার উঠানো সহজ।
গনিত :
বিসিএস এ আসা গণিত প্রশ্ন গুলো সাধারণত অত কঠিন হয় না তবুও অনেকেরেই এই বিষয়টায় অনেক দুর্বল। সেক্ষেত্রে একটাই সমাধান অষ্টম ,নবম ,দশম শ্রেণির গণিত বই গুলো সমাধান করুন। যেহেতু বহু নির্বাচনী নৈর্ব্যাত্তিক পরীক্ষা , আপনার বোঝার সুজোগ আছে সঠিক উত্তরটি কোনটি হতে পারে। সুতরাং ভয়ের কিছু নাই। উপরি উল্লিখিত বোর্ড এর বই সমাধান করতে পারলেই আসা করা যায় ৮০% সমাধান এখানেই রয়েছে। তবে তার পর ও যাদের সমস্যা হয় সমাধান এ সেক্ষেত্রে MP3 Math Review
এবংবিসিএস গাণিতিক যুক্তি এটা সমাধান করা যেতে পারে।
গনিতের যে যে অংশগুলো সয়াধান করবেন।
• সংখ্যা ও সংখ্যা তত্ত
• অনুপাত ও সমানুপাত
• লাভ ও ক্ষতির অংক সমূহ
• ল সা গু এবং গ সা গু
• বাস্তব সংখ্যা, শতকরার অংক, সরল সুদকষা,যৌগিক মুনাফা
• বহুপদী উৎপাদক, সূচক ও লগারিদম
• সমান্তর ও গুণোত্তর অনুক্রম ও ধারা
• ত্রিকোণমিতি এবং পরিমিতি
• রেখা, কোণ, সামান্তরিক,সম্পুরক কোণের পরিমাপ
• উপপাদ্যঃ ত্রিভুজ ও চতুর্ভুজসংক্রান্ত উপপাদ্য, পিথাগোরাসের উপপাদ্য, বৃত্তসংক্রান্ত উপপাদ্য (সম্পূর্ন পড়তে হবে না তবে মনে রাখা ভাল, এর ভেতর থেকে ছোট প্রশ্ন আসবে),
• সরল ক্ষেত্র ও ঘন বস্তু এবং সেট, বিন্যাস ও সমাবেশ অবশ্যই দেখতে হবে
• পরিসংখ্যান সম্পর্কিত অংক
• অবশেষে সময় অভিক্ষা (ঘড়ি) ও সম্ভাব্যতা নিয়ে অংক।
গণিতের ক্ষেত্রে বিশেষ একটা পরামর্শ হল যদি কোন অংকে সন্দেহ থাকে কিংবা না পারা যায় সেটার উত্তর দেয়ার দরকার নেই, যেহেতু নেগেটিভ মার্কিং রয়েছে।
সাধারন জ্ঞান/বাংলাদেশ/ আন্তর্জাতিক :
এই অংশে সর্বমোট নাম্বার হল ৫০। সুতরাং সাধারণ ভাবেই বোঝা যায় এই অংশটা হল ডিসাইডার বা এই অংশ অনেকাংশে নির্ধারন করবে আপনার প্রিলিতে ভাল মার্কস।
এখন প্রশ্ন হল বাংলাদেশ অংশে কি কি পড়তে হবে :
১. মুক্তিযুদ্ধ, প্রথমেই মুক্তিযুদ্ধ। খুবই গুরুত্বপুর্ন একটি অংশ। এখানে এর প্রাক মুক্তিযুদ্ধের ঐতিহাসিক ঘটনাবলী যেমন ভাষা আন্দোলন , গণভ্যুত্থান, আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার বিস্তারিত, ৬ দফা আন্দোলন সহ একাত্তুরের মুক্তিযুদ্ধ , সেক্টরে কমান্ডারদের নাম, বীরশ্রেষ্ঠ/বীর উত্তম/বীর প্রতীক সহ স্বাধীনতে উত্তর বিভিন্ন প্রেক্ষাপট নিয়ে পড়তে হবে।
২. দেশের সংবিধান। এখানে এই অংশের উল্লেখযোগ্য কিছু অনুচ্ছেদ
৩. বাংলাদেশের সৃষ্টি, ৪৭ এর দেশ বিভাগ থেকে শুরু করে পুর্ব পাকিস্তান এর আবির্ভাব এবং বাংলাদেশ এর স্বাধিনতা , বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান,জাতীয় চারনেতা , প্রথম সংসদ এর অধিবেশন তারিখ, স্পিকার সহ নানাবিধ বিষয়।
অন্যান্যঃ ভৌগোলিক অবস্থান, জলবায়ু, পররাষ্ট্র নীতি, সামরিক খাত, যাতায়াত ও যোগাযোগ ব্যবস্থা, প্রধান শহরাঞ্চল, ভাষা, ধর্ম, সংস্কৃতি, সাহিত্য, ধর্মীয়/প্রধান উৎসব, বাংলাদেশের কৃষি, শিল্প, অর্থনীতি, রাজনৈতিক ব্যবস্থা; সরকারব্যবস্থা, জাতীয় অর্জন, গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান ও স্থাপনা, জাতীয় পুরস্কার, খেলাধুলা, চলচ্চিত্র, , শিল্প, জনসংখ্যা, বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব, গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান ও স্থাপনা, জাতীয় পুরস্কার।
এমপি থ্রী বাংলাদেশ (সাধারণ জ্ঞান) বইটা অনেকেই সাজেস্ট করেছেন।
আন্তর্জাতিক বিষয়াদিঃ
১। প্রথমেই পৃথিবীর সবকয়টি মহাদেশ এর পরিচয়, এক এক মহাদেশের বিখ্যাত জায়গাসমুহ, ভৌগলিক ভাবে বিখ্যাত স্থান সমূহ যেমন: পানামা খাল/হিমালয় পর্বতমালা। অক্ষাংশ দ্রাঘিমাংশ , বিষুবরেখা এবং এই রেখার অবস্থা। পৃথিবীর শীতলতম স্থান ,সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে সবচে উঁচু কিংবা নিচু স্থান। বিভিন্য পর্বতমালা সমূহ। সবকটি মহাসাগর এদের অবস্থান। প্রিথিবীর বৃহত্তম কিংবা আয়তনে দীর্ঘ নদী।
২। বিভিন্য শহর কি জন্য বিখ্যাত! ও আই সি/সার্ক সহ বিভিন্য আন্তর্জাতিক সহযোগীতা মুলক সস্থার নাম। বিভিন্ন রাষ্ট্রের নাম ,রাজধানীর নাম, মুদ্রার নাম, ভাষা,তাদের সংস্কৃতি , প্রধান অর্থকরী ফসল, কি জন্য বিখ্যাত কোন শহর এসব জিনিষ গুলো খুবই গুরত্বপুর্ন
৩।বিখ্যাত হ্রদ, দ্বীপ, অন্তরীপ, জলপ্রপাত, মরুভুমি, পর্বত, পর্বতশৃঙ্গ, গিরিপথ, সুড়ঙ্গপথ বাঁধ, জাদুঘর এবং তাদের অবস্থান।
৪। ইউ এন অর্থাৎ জাতিসংঘ এবং এদের বিভিন্য অংগসংগঠন, সাধারণ এবং নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য সমূহ আন্তর্জাতিক আদালত এবং এগুলোর সদরদপ্তর সম্পরকে বিশদ ধারণা।
৫। বিভিন্য আন্তর্জাতিক সংবাদপত্র, সংবাদ সংস্থা , কেন্দ্রিয় ব্যাংক, বিভিন্য অর্থনৈতিক দাতা সস্থা। বিশ্বব্যাংক ,এডিবি (এশিয়ান ডেভলপমেন্ট ব্যাংক) বিভিন্য এইডঃ ইউকে এইড/ইউএস এইড ইত্যাদি।
৬। বিভিন্ন আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক, রাজনৈতিক, সামরিক , অর্থনৈতিক জোট, সংঘটনগুলোর সদর দফতর, সদস্য রাষ্ট্রের সংখ্যা, এবঙ্গেসবের প্রতিষ্ঠা সাল।
৭। বিভিন্ন দেশের বিখ্যাত রাজনৈতিক নেতাদের নাম অবদান, কুখ্যাত যারা ছিলেন তাদের নাম । কিকি কারণে তারা আলোচিত এবং সমালোচিত ছিলেন এসব কারণ।
৮। বিভিন্য দেশের সম্মাননা পুরস্কার, আন্তর্জাতিক ভাবে স্বীকৃত বিভিন্ন পুরস্কার।
৯। খেলাধুলা, বিভিন্য দেশের অর্জন, কোন দেশের কোন খেলায় অর্জন বেশি। অলিম্পিক কিংবা কমনওয়েলথ গেমস এ কোন দেশের কত অর্জন। বিশেষ করে সাম্প্রতিক।
নিম্নোক্ত বইটি পরা যেতে পারে এই বিষয়েঃ এমপি থ্রী আন্তর্জাতিক (সাধারণ জ্ঞান)
ভূগোল (বাংলাদেশ ও বিশ্ব), পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনাঃ
নবম দশম শ্রেণির ভূগোল ও পরিবেশ বইয়ের দশম অধ্যায় অনেক কাজে লাগবে । এছাড়া ভোৗগোলিক ভাবে প্রাকৃতিক সম্পদে বিখ্যাত দেশ গুলোর বিভিন্ন নাম পড়তে হবে। যেমন- ১) হাজার হ্রদের দেশ – ফিনল্যান্ড ২) হাজার দ্বীপের দেশ – ইন্দোনেশিয়া ৩) ইউরোপের ককপিট – বেলজিয়াম ৪) নিশীথ সূর্যের দেশ – নরওয়ে ৫) চির শান্তির শহর – রোম ৬) পবিত্র ভূমি – জেরুজালেম ৭) মসজিদের শহর – ঢাকা ৮) নিষিদ্ধ নগরী – লাসা (তিব্বত) ৯) সূর্য উদয়ের দেশ – জাপান ইত্যাদি। এছাড়া সৌরজগৎ, আগ্নেয়গিরি, ভুমিরুপ এসম বিষয়গুলো অষ্টম শ্রেণীর কিংবা নবম শ্রেণীর সামাজিক বিজ্ঞান কিংবা সাধারন বিজ্ঞান অংশ দেখলেই পরিষ্কার ধারনা পাওয়া যাবে।
বই পড়াঃ
একাডেমিক বই এর বাইরে কিছু সিলেক্টিভ বই নিরবাচিত করে পরতে হবে, ইদাহরন স্বরুপ , সমাপ্ত আত্মজীবনী (শেখ মুজিবুর রহমান) ২. বাংলাদেশের ইতিহাস (১৯০৫-১৯৭১) এছাড়াও যেসব বইয়ে বাংলাদেশের খ্যাতিমান লেখক, রাজনীতিবিদ, গায়ক, অর্থনিতিবিধ তদুপরি দেশের বিশিষ্ট জনের জীবনী সম্পর্কিত বই, দেশের দর্শনীয় স্থান এবং এর ইতিহাস নিয়ে বই পড়তে হবে।