ইউজিসির চেয়ারম্যান (রুটিন দায়িত্ব) দিল আফরোজা বেগমের সভাপতিত্বে সভায় কমিশনের সদস্য মুহাম্মদ আলমগীর, বিশ্বজিৎ চন্দ, মো. আবু তাহের, কমিশনের সচিব ফেরদৌস জামান, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ম্যানেজমেন্ট বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ জামিনুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। সভায় ৩৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও তাঁদের মনোনীত প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে গুচ্ছ পরীক্ষা-
শাবিপ্রবি কেন্দ্রে পরীক্ষা দেবেন সাড়ে ৭ হাজার শিক্ষার্থী
সমন্বিত গুচ্ছ পদ্ধতিতে দেশের ২০ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) কেন্দ্রে ৭ হাজার ৫৪২ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেবেন। আগামী রোববার ‘ক’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা হবে।
ওই দিন দুপুর ১২টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত ঘণ্টাব্যাপী পরীক্ষা হবে। শুক্রবার সন্ধ্যা সোয়া সাতটায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মুশতাক আহমদ।
ভর্তি পরীক্ষা কমিটির তথ্যানুযায়ী, দেশের ২০টি বিশ্ববিদ্যালয় এবার গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে। এতে শাবিপ্রবি কেন্দ্রে বিজ্ঞান, বাণিজ্য ও মানবিক বিভাগের মোট ৭ হাজার ৫৪২ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেবেন। গুচ্ছ ভর্তি ব্যবস্থায় ১৭ অক্টোবর ‘ক’ ইউনিটে বিজ্ঞান বিভাগের ৪ হাজার ৭১০ জন, ২৪ অক্টোবর ‘খ’ ইউনিটে মানবিক বিভাগের ১ হাজার ৯৬৫ জন ও ১ নভেম্বর ‘গ’ ইউনিটে বাণিজ্য বিভাগের ৮৬৭ জন গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় শাবিপ্রবি কেন্দ্রে অংশ নেবেন। নির্দিষ্ট দিন দুপুর ১২টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াড, আন্তর্জাতিক ইনফরমেটিক্স অলিম্পিয়াড, আন্তর্জাতিক পদার্থবিজ্ঞান অলিম্পিয়াড ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক স্বর্ণ, রৌপ্য, ব্রোঞ্জ মেডেলধারী শিক্ষার্থীরা ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ ছাড়াই শর্তসাপেক্ষে ভর্তির সুযোগ পাবেন। বিদেশি নাগরিকদের ক্ষেত্রে উচ্চমাধ্যমিক সমমানের পরীক্ষায় বাংলাদেশি মানদণ্ডে ‘বি’ গ্রেড অথবা সেট পরীক্ষায় ৭০০ নম্বর থাকতে হবে।
অধ্যাপক মুশতাক আহমদ প্রথম আলোকে জানান, ভর্তি–ইচ্ছুক পরীক্ষার্থীদের ভোগান্তি কমাতে এ বছর ২০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছ পদ্ধতিতে সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। তবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তাদের চাহিদা অনুযায়ী, আলাদা আলাদা ভর্তি বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে এবং দেবে। ভর্তি পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তি হতে পারবেন।
মুশতাক আহমদ আরও জানান, গুচ্ছ পদ্ধতিতে আবেদনকারী শিক্ষার্থীদের কারা কোন কেন্দ্রে পরীক্ষায় অংশ নেবেন, সেটা তাঁদের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকের ফলাফল, কেন্দ্র থেকে স্থায়ী ঠিকানার দূরত্বসহ কয়েকটি সুনির্দিষ্ট প্রক্রিয়া অনুসরণ করে নির্ধারণ করা হয়েছে। এরই মধ্যে ভর্তি পরীক্ষার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে সবাইকে কেন্দ্রে আসতে হবে।